শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পরীক্ষা হলো না এক মাসেও, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু চিকিৎসকের

করোনায় মারা গেলেন বিচারক ও আরও এক চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে একজন বিচারক (জেলা জজ) এবং দুজন চিকিৎসক মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় মারা গেছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. ফেরদৌস আহমেদ (৫৫)। বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা  মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফেরদৌস আহমেদ ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই এই বিচারক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজন চিকিৎসক মারা  গেছেন। তিনি হলেন- ডা. ফিরোজা বেগম (৬৫)। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর ৬টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড  রেস্পন্সিবিলিটিজের (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডা. ফিরোজা  বেগমের স্বামী রাজধানীর আল নূর চক্ষু হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা.  মো. শফিকুর রহমানেরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনিও কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী জানান, এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত ৫১ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৮ জন চিকিৎসক।

এক মাসেও হলো না পরীক্ষা, চিকিৎসকের মৃত্যু : করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল আনোয়ার। কিন্তু এই এক মাসে অনেক চেষ্টা করেও তার করোনা পরীক্ষা করানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পরপারেই চলে গেলেন তিনি। বুধবার দিবাগত রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার  ছেলে আবদুল আহাদ। তিনি অভিযোগ করেন, এক মাসের বেশি সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্বা। এ এক মাস শতচেষ্টা করেও বাবার করোনা টেস্ট করাতে পারিনি। চমেকের চিকিৎসকরা বাবার চিকিৎসার বিষয়ে এবং করোনা টেস্টের বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। দেশের একজন স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ হয়েও তিনি যথাযথ চিকিৎসা পাননি। জানা গেছে, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল আনোয়ারের পরিবারের অনুরোধে একজন সাংবাদিক এই চিকিৎসকের করোনা টেস্ট এবং সুচিকিৎসার জন্য বিএমএ নেতাদের এবং চমেকের কয়েকজন চিকিৎসককে ফোন করে অনুরোধ করার পরও তার করোনা টেস্ট করাতে ব্যর্থ হন।

সর্বশেষ খবর