রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কোটি আক্রান্ত মৃত্যু ৫ লাখ

চার ভাগের এক ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে, দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল

প্রতিদিন ডেস্ক

কোটি আক্রান্ত মৃত্যু ৫ লাখ

যুক্তরাষ্ট্রে একটি কভিড-১৯ স্ক্রিনিং কেন্দ্র

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৫ লাখ। আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবারও এক দিনে রেকর্ড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৩৪১ জন। এর পরের অবস্থানে ছিল ব্রাজিলে ৪৬ হাজার ৯০৭ জন, ভারতে ১৮ হাজার ২৭৬ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬ হাজার ২১৫ জন, রাশিয়ায় ৬ হাজার ৮০০ জন, মেক্সিকোতে ৬ হাজার ১০৪ জন, চিলিতে ৪ হাজার ২৯৬ জন, সৌদি আরবে ৩ হাজার ৯৩৮ জন, বাংলাদেশে ৩ হাজার ৮৬৮ জন, পাকিস্তানে ২ হাজার ৭৭৫ জন, ইরানে ২ হাজার ৬২৮ জন। এ দিন ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ১৯০ জন, আর মৃত্যু ছিল ৪ হাজার ৮৯৩ জন।

ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার এক দিনেই করোনাভাইরাসে সংক্রমণের একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। এই প্রথম এখানে এক দিনে ৪৭ হাজারেরও বেশি লোক এতে সংক্রমিত হন। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার হিসেবে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার যে রেকর্ড সংখ্যক লোক যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছিলেন, শুক্রবারের সংখ্যা তা অতিক্রম করে গেছে এবং ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসি ও ইউটা। এই ৫টি অঙ্গরাজ্যেও এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে আবার সব পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

নতুন সংক্রমণের কবলে নিউজিল্যান্ড : নিউজিল্যান্ডে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুই কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে দেশের স্বাস্থ্য দফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড জানিয়েছেন, আক্রান্ত দুজনই ভারত থেকে সেখানে গেছেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণার পর এ নিয়ে সেখানে ১৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হলো।

নিউজিল্যান্ডে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। প্রথম ধাপে শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৫৪ জন করোনা রোগী। মৃত্যু হয় ২২ জনের। ৮ জুন করোনার শেষ রোগীটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে সীমান্ত কড়াকড়ি ছাড়া সব ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের সরকার। তবে এক সপ্তাহের মাথায় আবারও সে দেশে নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তবে তারা বিদেশফেরত।

ব্লমফিল্ড জানান, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় দুজনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের দুজনেরই বয়স ২০-এর কোটায়। নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের পর সেখানকার আইসোলেশন কেন্দ্রে ছিলেন ওই দুজন। এদের মধ্যে এক তরুণী ১৮ জুন ভারত থেকে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছান। তিনি গ্র্যান্ড মিলেনিয়াম আইসোলেশন কেন্দ্রে ছিলেন। ২৩ জুন প্রথম করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। ২৬ জুন অন্য শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অকল্যান্ড সিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আবারও তিনি আইসোলেশন কেন্দ্রে ফিরে যান। অকল্যান্ড হাসপাতালেও তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গতকাল পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ এসেছে।

আক্রান্ত হওয়া অপর তরুণ গত ২২ জুন ভারত থেকে নিউজিল্যান্ডে আসেন। তিনিও গ্র্যান্ড মিলেনিয়ামে আইসোলেশনে ছিলেন। তৃতীয় দিনের রুটিন পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে।

সর্বশেষ খবর