করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে সুবিধাদি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির (চেয়ারম্যান ও মেম্বার) বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে।
এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। এসব জনপ্রতিনিধির ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে বরখাস্তও করেছে। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে কমিশন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ২১টি মামলা করেছে। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। নতুন করে এই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আমরা প্রত্যাশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারও প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
