শিরোনাম
রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ভ্যাকসিনে এগিয়ে অক্সফোর্ড, পরের অবস্থানে মডার্না

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে বিশ্বজুড়ে যখন প্রতিযোগিতার দৌড় চলছে, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এ দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ। এর পরই রয়েছে মার্কিন কোম্পানি মডার্না। সূত্র : রয়টার্স।

গত শুক্রবার সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অগ্রগতি বিবেচনায় সবার চেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি। এর পরই রয়েছে মার্কিন কোম্পানি মডার্না।

খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিনটি বৃহৎ ও মাঝারি পরিসরে এরই মধ্যে মানবদেহে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে উৎপাদন নিয়ে ১০টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধও হয়েছে তারা। আর মার্কিন কোম্পানি মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিনটিও উন্নতির দিক দিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার চেয়ে খুব দূরে নেই। সৌম্য স্বামীনাথম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা জানি, মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিনটিও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে। সম্ভবত জুলাইয়ের মাঝামাঝি এবং সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনটিও (অ্যাস্ট্রাজেনেকার থেকে) খুব বেশি দূরে নেই। তবে আমি মনে করি অ্যাস্ট্রাজেনেকা যেখানে যেখানে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চালাচ্ছে এবং যেখানে ট্রায়াল চালনোর পরিকল্পনা করছে সেসব দিক বিবেচনায় নিলে বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে তারা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।’ জানা গেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক এ ভ্যাকসিন প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। এটি কভিড-১৯ থেকে মানুষকে কতটা কার্যকরভাবে সুরক্ষা দিতে পারে, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে মহামারীতে পরিণত করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে বিভিন্ন দেশে জোরালো প্রচেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন সম্ভব হয়নি। বিশ্বে তৈরি ২ শতাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যে এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ১৫টির।

ভারতে ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারে সম্মতি : সংক্রমণ চিকিৎসায় কম দামি স্টেরয়েড (Covid-19 treatment) ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে ভারত। মিথাইলপ্রিডনিসোলোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এ স্টেরয়েড (dexamethasone drug)। মাঝারি ও আশঙ্কাজনক কভিড-১৯ রোগীর জন্য এ উদ্যোগ। সম্প্রতি ব্রিটিশ গবেষণাগার পাস করেছে এ ড্রাগ। তাই ব্যাপকহারে এর উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে হু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (Union Health Ministry) সংশোধিত গাইডলাইনে এ স্টেরয়েড ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গ স্বাদ ও গন্ধ বিলোপ পাওয়াকে গাইডলাইনে জায়গা দিয়েছিল। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগীদের উপশম দিতে এ স্টেরয়েড অব্যর্থ। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট খুলতে এ স্টেরয়েড কার্যকর। ব্রিটিশ গবেষণাপত্রে সেই কার্যকর উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : ভারতীয় গণমাধ্যম।

সর্বশেষ খবর