রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রণোদনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা

-এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রণোদনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা

শেখ ফজলে ফাহিম

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে একটি শ্রেণি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী- শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি বলেছেন, যেসব ব্যাংক মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, তাদের সরকারি আমানত প্রত্যাহার, আর যারা পাশে দাঁড়াচ্ছে, তাদের আমানত বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেছে এফবিসিসিআই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বাধা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধান নিশ্চয়ই আছে। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু কর্মকর্তা ও পরামর্শক নতুন নতুন জটিলতা সৃষ্টি করছেন। তাদের ব্যাপারে তদন্ত চেয়েছে এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে, এক শতাংশের জন্য বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ ভুক্তভোগী হওয়া উচিত নয়।

গতকাল রাজধানীর মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ‘বাজেট ২০২০-২০২১ : মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ শীর্ষক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই সাড়ে ৪ কোটি মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ ছিল প্রণোদনা অনুদান এবং ভর্তুকি সুদের ঋণসুবিধা। কিছু ঋণ ও অনুদান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য প্যাকেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যান্য দেশের সুবিধা, করজালের অন্তর্ভুক্ত জনগণের জন্য প্রযোজ্য। আমাদের কর জিডিপি অনুপাত দুর্বল হওয়ার শর্তে প্রণোদনাগুলো ১৬ কোটি মানুষের জন্য। ঋণগ্রহীতা, গ্রাহক ও সরকারের ভর্তুকি সমন্বয়ে সব ঋণে ব্যাংক পাবে ৯ শতাংশ সুদ।’

তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার বিষয়টা নতুন। তাই বাস্তবায়নে একটু সময়ও লাগছে। পেশাদার ব্যাংকার জানেন সহযোগিতার হাত কী করে বাড়াতে হবে। এফবিসিসিআই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার অনুরোধ করে আসছে। তাই প্রণোদনা বাস্তবায়নে ব্যাংকদের কোনো বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান প্রয়োজন হলে আমরা একসঙ্গে সমাধান করব।’ শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘প্রস্তাবিত কোনো বিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে এখনো পরিবর্তন করতে পারে কি না আমার জানা নেই। তবে স্থগিত করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ককর আইন, ২০১২ স্থগিত করেছিলেন দুই বছরের জন্য রাজস্ব ও ব্যবসাবান্ধব করার লক্ষ্যে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পরামর্শক ও কর্মকর্তারা কোনো কাজ করেননি। এখনো তাদের অনেকে চাকরিতে আছেন এবং একই প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরনো ব্যর্থ পরামর্শক আবারও যোগ দিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যান্য খাতের ট্যারিফ বিষয়গুলো যৌক্তিক হলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এসআরওর মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।’ এফবিসিসিআই সভাপতি এ প্রসঙ্গটিতে আসেন এবারের বাজেটে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) বিষয়ে কিছু বিধির বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে। ব্যবসায়ীরা ওই সব বিধান নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট রেয়াত নেওয়ার সুযোগ সীমিত করা, উচ্চপর্যায়ের অনুমতি ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে নথিপত্র জব্দ করার সুযোগ, ভ্যাট বিরোধ নিষ্পত্তিতে মামলার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ অর্থ জমা, টেলিযোগাযোগে ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে সালিশে যাওয়া এবং তার ৩০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন বলে বিধি করা ইত্যাদি।

সর্বশেষ খবর