বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া বিপজ্জনক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের ওপর ভর করেছে। এক দিনের হিসাবে ভাইরাস সংক্রমণে ভারত উঠে এসেছে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। যা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলকে ছুঁতে যাওয়ার ইঙ্গিত।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৫৮১ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে সংক্রমণ ছিল ৩৫ হাজার ৮৮৭ জন। আর ভারতে সংক্রমণ ছিল ২০ হাজার ১৩১ জন। এর আগে এ অবস্থানে ছিল রাশিয়া। কিন্তু শনিবার রাশিয়ার অবস্থান চলে যায় পঞ্চমে। এদিন চতুর্থ অবস্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ২১০ জন, আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমণের শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৫২ জন। এদিকে বিশ্বে এখন মোট সংক্রমিতের সংখ্যা হয়েছে অন্তত ১ কোটি ১২ লাখ। মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৪ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে সরকারি হিসাব অনুযায়ী মোট প্রায় ২৬ লাখ, মৃত্যু ১ লাখ ২৮ হাজার ১৫২। ব্রাজিলে আক্রান্ত ১৩ লাখ ১৬ হাজার প্রায়, মৃত্যু ৫৭ হাজার ১০৩। রাশিয়ায় আক্রান্ত ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭, মৃত্যু ৯ হাজার ৭৩। ভারতে আক্রান্ত ৫ লাখ ৩১ হাজার প্রায়, মৃত্যু ১৬ হাজার ১২৪। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ জন, মৃত্যু ৪৩ হাজার ৫১৪। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার প্রায়, মৃত্যু ৪ হাজার ১১৮। বাংলাদেশে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭, মৃত্যু ১ হাজার ৭৩৮।
ভারতে পরিস্থিতির চরম অবনতি : এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যতই দিন যাচ্ছে ততই অবনতি হচ্ছে ভারতের করোনা পরিস্থিতির। এবার আক্রান্তে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দেশটি। লকডাউন শিথিলের পর থেকে ভারতে করোনা সংক্রমণের যে অনভিপ্রেত রেকর্ড গড়ার ধারা শুরু হয়েছে, তা বজায় থাকে গতকালও। সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান বলেছে, আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১০ জন। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, গুজরাট, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।