বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বাজেট প্রত্যাখ্যান করে সংসদের বাইরে বিএনপি এমপিদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের কপি ছিঁড়ে সদ্য পাস করা এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির এমপিরা। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের মূল গেটে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তারা বাজেট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। বেলা ১২টার দিকে বিএনপির পাঁচজন এমপি তাদের বাজেট প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তারা বলেন, এটি জনগণের বাজেট নয়। জনগণকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই বাজেট। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আলোচনাবিহীন বাজেট কখনো পাস হয়নি। তারা এ বাজেটকে স্ববিরোধী, অসামঞ্জস্য, স্বপ্ন ও কল্পনাবিলাসী এবং লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার বাজেট হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, তাই আজকে এই মহান সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা জনগণের পক্ষে এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। এ সময় এমপিরা করোনা মোকাবিলায় সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং রোডম্যাপ তৈরি করে অবিলম্বে জাতির উদ্দেশে প্রকাশেরও দাবি জানান। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বিএনপি দলীয় এমপি হারুনুর রশীদ ও গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বক্তব্য রাখেন। এ সময় এমপি মোশাররফ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হয় ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, যে বাজেট পাস হয়েছে তা জনগণকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য। আমরা যারা মূল বিরোধী দল বিএনপির এমপি আছি, আমরা যাতে সংসদে এই বাজেট নিয়ে কথা না বলতে পারি, সমালোচনা করতে না পারি- সেজন্য মাত্র এক দিনের জন্য সাধারণ বাজেট আলোচনা করা হয়। জনগণকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই বাজেট। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আলোচনাবিহীন বাজেট আর কখনো পাস হয়নি। তাই আজকে এই মহান সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা জনগণের পক্ষে এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। হারুনুর রশীদ বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের মধ্যে আমাকে সংসদে খুব অল্প সময়ের জন্য বাজেট বক্তৃতায় কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই বাজেটের বক্তৃতায় এক পর্যায়ে স্পিকার আমার মাইক বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা বাজেট ঘোষণার আগে এই বাজেট অধিবেশন ভার্চুয়াল করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করা হয়নি। বিএনপির এমপিদের এই বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যারা মহাজোটের শরিক তারাই বিরোধী দলে অংশগ্রহণ করছে। ফলে জনগণের যে সংকট সেটি সত্যিকার অর্থে সংসদে প্রতিফলিত হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, করোনার মতো ভয়ঙ্কর একটা সংকটে যে ‘যাচ্ছে-তাই’ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটার সমালোচনা এড়ানোর জন্যই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি করে শেষ করেছে সরকার। কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে আর কখনো দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর