এলিট ফোর্স র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য নিয়ে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। জঙ্গিবাদ দমনে যে সাফল্য অর্জন করেছি, তা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিট কাজ করছে।’ গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বরে সেই হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সকাল ৯টার দিকে ওই বাড়িটির গেট খুলে দেওয়া হলেও চলমান করোনা মহামারীর কারণে এবার সবার জন্য তা উন্মুক্ত ছিল না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের পাশাপাশি একে একে আসেন আমেরিকা, ইতালি ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি মনে করি, আমরা এক ধাপ এগিয়ে আছি। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা যখনই কোনো পরিকল্পনা করছে, তখনই আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে কাজ করছি এবং তাদের আটক করতে সক্ষম হচ্ছি।’ জঙ্গি সংগঠনগুলোর সক্ষমতা প্রসঙ্গে চৌধুরী মামুন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সারা বিশ্ব জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় কাজ করছে। আমরাও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি মনে করি জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম সফলভাবে আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এই সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা আশা করছি।’ র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘২০১৬ সালের এই দিনে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় মর্মান্তিক ও কাপুরুষোচিত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের স্বজনরা যাতে এই শোক সইতে পারেন, সে জন্য তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

হোলি আর্টিজান হামলার পর থেকে র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিট একত্র হয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছে এবং জঙ্গিদের সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া গেছে বলে জানান তিনি।