সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে গণভবনে সরকারের উচ্চপর্যায়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব। পরে বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ ও শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান মুখ্য সচিব। দেশে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রয়েছে।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন ও রিমডেলিংয়ের জন্য উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের আরও দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। পরবর্তীতে এ কারখানাগুলো পুনরায় চালু হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানান ড. আহমদ কায়কাউস।
শ্রমিকদের পাওনা টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য সচিব বলেন, পাটকল শ্রমিকরা এতদিন ঠিকমতো তাদের পাওনা পেতেন না। এখন তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পাওনার ৫০ শতাংশ টাকা নগদ দেওয়া হবে। বাকি ৫০ শতাংশ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, মূলত শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য ৫০ শতাংশ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এতে শ্রমিকরা এখন যে অবস্থায় আছেন তার চাইতে বেশি ভালো থাকবেন।