চিকিৎসা না দিয়ে সাধারণ রোগী ফেরত পাঠানোর কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে রোগী ফেরত পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মো. আমিনুল হাসানের স্বাক্ষরে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের সব হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লক্ষ্য করছি চিকিৎসা না পাওয়ার ঘটনার খবর প্রকাশ পাচ্ছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরসমূহ নির্ধারিত তারিখে পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে উপস্থাপন করব। আগামী ৬ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ জুন দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহে কভিড ও ননকভিড রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তাই কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে এ ধরনের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫০ বা তার অধিক শয্যার বেসরকারি হাসপাতালে (যেমন-স্কয়ার, এভারকেয়ার, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ইত্যাদি) নির্দেশনা মেনে কভিড-১৯ ও ননকভিড রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ১৫ জুন এক আদেশে চিকিৎসা না দিয়ে সাধারণ রোগীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ। আদালত আদেশে অবহেলায় মৃত্যু, আইসিইউ বণ্টন, বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ, অক্সিজেন সরবরাহ ও ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা লকডাউন নিয়ে মোট ১১ দফা নির্দেশনা ও অভিমত দেন। এসব নির্দেশনা ও অভিমতের মধ্যে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত পরের দিন সাতটি নির্দেশনা স্থগিত করে আদেশ দেয়। ওই আদেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়েছিল। হাই কোর্টের আদেশ অনুযায়ী পৃথক তিনটি বিষয়ে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
