শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশন জাতির বড় দুর্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন জাতির বড় দুর্যোগ

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, আমাদের জাতীয় জীবনে এমন উদ্ভট, বিবেচনাহীন সব বিষয় সামনে আসে, এসব নিয়ে সুস্থভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো কঠিন। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যদি মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমিশন জাতির অগ্রগতির পথে অনেক বড় অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গতকাল সংগঠনটির এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘কমিশনে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০’ শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই আইনটির খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুজনের বক্তব্য তুলে ধরতে গতকাল অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। লিখিত বক্তব্য দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, রাজশাহী জেলা সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা জেলা সভাপতি প্রকৌশলী মুজবাহ আলীম ও সুজন ঢাকা অঞ্চলের সমন্বয়কারী মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, কোনো দলের কাছে নয়। এ আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য কি জনস্বার্থ না রাজনৈতিক দলের স্বার্থ এটাই আমার কাছে বড় প্রশ্ন। রাজনৈতিক দল যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে লক্ষ্য হওয়া উচিত দলগুলোকে গণতান্ত্রিক করা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরেই জনস্বার্থবিরোধী কাজ করে আসছে, নানা অপকর্ম করে আসছে। এ আইনটি এ অপকর্মেরই ধারাবাহিকতার অংশ। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের উদ্যোগ চরম আপত্তিকর, অগণতান্ত্রিক, অগ্রহণযোগ্য এবং সংবিধানবিরোধী। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কীভাবে জনগণের অধিকারচর্চা সংকুচিত করার মতো উদ্যোগ নিতে পারে আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আমি বলব, এটা একটি অগ্রহণযোগ্য সংস্থার চরম অগ্রহণযোগ্য একটি কাজ। এর ফলে আমাদের ন্যূনতম গণতন্ত্রচর্চার সুযোগও থাকবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর