শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় আর্টিক্যাল নাইনটিনের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মত প্রকাশের জের ধরে দেশজুড়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যাপকহারে মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর্টিকেল নাইনটিন। গতকাল সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, লেখক, সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট গ্রেফতার চলমান কভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা, দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার সংকটকেই আরও প্রকট করে তুলেছে। আর্টিকেল নাইনটিন এসব গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা জানায় এবং একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি ও দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। আর্টিকেল নাইনটিনের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল শুরু থেকেই। নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে তৃণমূলে ত্রাণ বিতরণ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা, অস্বচ্ছতা ও অব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো দিন দিন স্পষ্ট হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, সরকার এসব দুর্বলতা কাটানোর প্রতি মনোযোগী হবে। অথচ এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভিন্নমত ও সমালোচনা দমনের নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্য আইনে দায়েরকৃত মামলার তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সম্প্রতি রংপুর ও রাজশাহীতে দুইজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে, যাদের একজন নারী, মামলা দায়েরের পর পরই কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়। স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থেই স্বাধীন মত প্রকাশের চর্চা নির্বিঘ্ন হওয়া প্রয়োজন। মত প্রকাশজনিত ঘটনায় ২০১৮ সালে ৭১টি ও ২০১৯ সালে ৬৩টি মামলা রেকর্ড করে আর্টিকেল নাইনটিন। অথচ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই সংস্থাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া ১১৩টি মামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে। কেবল মত প্রকাশের কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২০৮ জন এসব মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫৩ জনই সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর