শিরোনাম
রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা পরীক্ষায় ফি আরোপ গণবিরোধী

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা পরীক্ষায় ফি আরোপ গণবিরোধী

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অবিলম্বে এ ফি বাতিল করে সারা দেশে নাগরিকদের মধ্যে বিনামূল্যে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি সরকারের প্রতি এ দাবি জানান। রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীরা প্রায়ই বলছেন বিশ্বে বাংলাদেশ নাকি রোল মডেল। কিসের জন্য বাংলাদেশ মডেল? স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশ এখন দুর্নীতির জন্য সারা বিশ্বের কাছে রোল মডেল। কারণ এরা যেমন ‘স্বর্ণের মেডেল’ থেকে স্বর্ণ চুরি করে, আবার করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য বরাদ্দ করা ত্রাণের চাল চুরিসহ নকল মাস্কের ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও রোল মডেল হয়েছে। তিনি বলেন, মরণঘাতী করোনাভাইরাস পরীক্ষার ওপর ২০০ টাকা ফি আরোপের সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর। এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকট চরমে। মানুষের ঘরে খাবার নেই। হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পথে-ঘাটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় পরীক্ষাও হচ্ছে নামমাত্র। এর মধ্যে এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। মহামারীর চিকিৎসা কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে হয় না। করোনা মহামারীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বিশ্বের কোথাও সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষায় অর্থ নেওয়া হয় না। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা পরীক্ষার রেকর্ড দক্ষিণ কোরিয়ার। তারা দিনে এক লাখের বেশি মানুষের করোনার পরীক্ষা করেছে। এমনকি অ্যান্টিবডি টেস্টও করেছে। সেখানে সব পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গরিব দেশ আফগানিস্তানে করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হচ্ছে।

এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশ পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসোতে করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। আমাদের প্রতিবেশী কোনো দেশেই পরীক্ষা করাতে ফি নেয় না। উপরন্তু প্রায় প্রতিটা দেশের সরকার  সেচ্ছাসেবীদের ঘরে ঘরে পাঠাচ্ছে নমুনা সংগ্রহে। টেস্ট করাতে জনগণকে উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠী এ মহামারীকেও বানিয়েছে মুনাফা অর্জনের উপলক্ষ। এরা কতটা অমানবিক তার নিকৃষ্টতম প্রমাণ এ ফি ধার্য। 

তিনি বলেন, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সব বিশেষজ্ঞ করোনা সংক্রমণ রোধে টেস্ট বৃদ্ধি করাকেই প্রধান অবলম্বন বলছেন, সেখানে টেস্ট করাতে ফি ধার্যের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে নিম্নআয়ের মানুষ উপসর্গ থাকার পরও করোনা পরীক্ষা করাতে পারবেন না। এতে লাশের মিছিল কেবল দীর্ঘতর হবে।

সর্বশেষ খবর