সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

আবারও কিট যাচাইয়ের সুযোগ পেল গণস্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও অ্যান্টিবডি কিট যাচাইয়ের সুযোগ পেল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ নিয়ে ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (জিকে) ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে গতকাল দুপুরে। এবার গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের আবার পরীক্ষা হবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এ। আজকালের মধ্যেই আইসিডিডিআরবিতে এ সংক্রান্ত সব ডকুমেন্টস জমা দিতে যাবেন জিকে কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের  জিআর কভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিবউল্লাহ খোন্দকার এসব তথ্য জানান। এ সময় কিটের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ও গবেষক ড. বিজন কুমার শীলসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডা. মুহিবউল্লাহ খোন্দকার বলেন, অ্যান্টিবডি কিটের বিষয়ে আমরা আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছিলাম। ঔষধ প্রশাসন বিদ্যমান সরকারি নিয়মে আবার কন্ট্রাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করতে বলেছে। আমাদের আবেদিত রি-এজেন্টের জন্য অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আমাদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তা করতে চেয়েছেন। অ্যান্টিবডি কিট আরেকবার পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই পরীক্ষা করার সক্ষমতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নেই। এটি করতে পারবে আইসিডিডিআরবি। আজকালের মধ্যেই আমরা আইসিডিডিআরবিতে যাব।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, অ্যান্টিবডি ট্রায়ালের আগে বা ট্রায়াল চলাকালে আমাদের জানানো হয়নি ভ্যালিডেশনে এফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করা হবে। বিএসএমএমইউ সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। যে কারণে কিট মূল্যায়নে সমস্যা হয়েছে। অ্যান্টিজেন কিটের ক্ষেত্রে আমরা আগেই বলেছি, কোন প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল হবে তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগেই নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর একটি গাইডলাইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে। আগামী বুধবারের মধ্যে অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার গাইডলাইন চূড়ান্ত হবে। তার আগে খসড়া অনুযায়ী আমরা আবেদন করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে কিট পরীক্ষা করতে খুব কম সময় লাগবে। ১০০ থেকে ১৫০টি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে। ৫০টি পজিটিভ স্যাম্পল ও ১০০টি নেগেটিভ স্যাম্পল পরীক্ষা করলেই হবে। এতে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে এবং অন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর