সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করের আওতায় আনা হবে বিদেশি সামাজিক মাধ্যমকে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

করের আওতায় আনা হবে বিদেশি সামাজিক মাধ্যমকে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ওটিটি প্লাটফর্মে কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন প্রচারসহ সামগ্রিক বিষয়টিকে যুগোপযোগী নিয়মনীতি ও করের আওতায় আনা হবে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. নূর-উর-রহমান, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এই সভায় অংশ নেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্লাটফর্ম বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অডিও-ভিডিওসহ নানা কন্টেন্ট প্রচার বর্তমান যুগের একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। পৃথিবীতে এ ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিনোদন থেকে শুরু করে নানা কন্টেন্ট সেখানে স্ট্রিমিং করা হচ্ছে, আমাদের দেশেও হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে নানা বিতর্ক হয়েছে, সেন্সরবিহীন কন্টেন্ট প্রদর্শিত হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সরকার ঠিকভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ওটিটি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে। আমরা সময়ে সময়ে দেখতে পাচ্ছি এ সমস্ত মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব রটানো, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যুবা ও কিশোরদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়েছে। এটি একটি বাস্তবতা। এই মাধ্যমগুলো আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে ঠিকভাবে। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে গ্রামীণফোন এবং রবির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। গ্রামীণফোন যে উত্তর দিয়েছে সেখানে ঠিকভাবে ব্যাখ্যা নেই, আর ‘রবি’ উত্তর প্রস্তুত করছে বলে জানিয়েছে। এগুলোকে একটি সমন্বিত নিয়মনীতির মধ্যে আনার লক্ষ্যেই আজকের সভা। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র এবং এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসার সুযোগ রয়েছে, যা অবশ্যই করযোগ্য। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য প্লাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স, ইউটিউব প্রভৃতির কাছে দেশের অনেক অর্থ চলে যাচ্ছে, কিন্তু সেখান থেকে সরকার যেভাবে ট্যাক্স পাওয়ার কথা তা পাচ্ছে না। হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে ওটিটি প্লাটফর্মে অন্য দেশের কন্টেন্ট দেখানোর ক্ষেত্রে নানা আইনকানুন, নিয়মনীতি প্রবর্তন হয়েছে। ভারতে চালু থাকার জন্য ফেসবুক ভারতীয় কোম্পানি হিসেবে রেজিস্টার্ড হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো রেজিস্টার্ড হয়নি, তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় তারা একজন এজেন্ট নিয়োগ করেছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ওটিটি প্লাটফর্মে কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন প্রচারসহ সামগ্রিক বিষয়টিকে যুগোপযোগী নিয়মনীতি ও করের আওতায় আনার লক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার)-কে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর চার সদস্য হিসেবে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিটিআরসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধি ও একজন আইন বিশেষজ্ঞ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর