সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্য ফেরত ২১৯ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের জেল থেকে ২১৯ বাংলাদেশি মুক্তি পেলেও দেশে ফেরার পর তাদের পাঠানো হয়েছে ফের কারাগারে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরা প্রত্যেকেই কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনের কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।

জানা গেছে, নানা অপরাধে জড়িত ২১৯ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছিল সেখানকার সরকার। সাজা ভোগের মধ্যে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঘটলে তাদের সাজা মওকুফ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এলে তাদের রাখা হয় রাজধানীর তুরাগের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। পরে তুরাগ থানা পুলিশ সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক শফিউল্লাহ। তিনি আদালতে উপস্থাপিত আবেদনে উল্লেখ করেন, বিদেশফেরত ২১৯ বাংলাদেশি কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকায় সে দেশের সরকার তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। করোনাভাইরাসের কারণে তাদের সাজা মওকুফ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তুরাগ এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কিন্তু তারা সেখানে থেকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য সলাপরামর্শ করছিলেন। তারা সরকারকে ‘ধ্বংস’ করার জন্য পরামর্শ করছিলেন। তাদের এ বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসে। তাই তাদের ১৫৪ ধারায় আটক রাখার আবেদন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করছি। কারাগারে পাঠানো প্রবাসীরা হলেন- মামুন, ফয়জুল্লাহ, লিটন, জহিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জুয়েল, লিটন মির্জা, আফসার উদ্দিন শিমুল, জাকির হোসেন, সগির, আরিফুল ইসলাম, আমির হোসেন, মিজানুর রহমান, আবুল খায়ের, লিয়াকত আলী, আজাদ হোসেন, কামাল, আবদুল্লাহ আল মামুন, লিটন, রতন ও মারুফ।

আদালত সূত্র জানায়, শনিবার বিদেশফেরত ২১৯ জনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম  দেবব্রত বিশ্বাস তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ  দেন। তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল মোত্তাকিন জানান, বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এই ২১৯ বাংলাদেশি বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খাটছিলেন। করোনার কারণে তাদের সাজা মওকুফ করা হয়। এরা কী ধরনের অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তা তদন্তের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় এদের গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। তাদের বিষয়ে তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে ১৫৪ ধারায় তাদের আটক দেখানো হয়েছে। এদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিদেশে যাওয়ার আগে দেশে তারা কোনো অপরাধ করে গিয়েছিলেন কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর