রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০ এর খসড়ার বিষয়ে মতামত দেওয়ার সময় বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১৬ জুন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কাছে আইনটির খসড়ার ওপর মতামত আহ্বান করে সংস্থাটি। গতকাল এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার শেষ দিন ছিল। গতকাল নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দল নিবন্ধন আইনের জন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি দল মতামত দেয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মতামত দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আরও কিছুদিন সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাকালে নতুন নিবন্ধন আইন না করে পরবর্তীতে করতে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করব। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, কী করবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে আলাদা কোনো আইন নেই। তাই এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। অনেকের মতামতই আমরা পেয়েছি। আবার অনেকের মতামত পাইনি। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন দল নিবন্ধনের জন্য বিধানযুক্ত (ভিআইএ অধ্যায়) করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)। এতে নিবন্ধন পেতে তিনটি প্রধান শর্তজুড়ে দিয়ে যে কোনো একটি পূরণ করতে বলা হয়। কে এম নূরুল হুদার কমিশন সেই তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত দুটি পূরণ করার জন্য বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নে হাত দিয়েছে। আর আরপিও থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভিআইএ অধ্যায়টি। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীপদ পূরণের যে বিধান ছিল, তা তুলে দিয়ে নারীপদ পূরণের বিষয়টি দলের মর্জির ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে- দল তার গণঠনতন্ত্রে উল্লেখ করবে কতদিনের মধ্যে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীপদ পূরণ করবে এবং প্রতি বছর সেই সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ইসিকে অবহিত করবে। এছাড়া পরপর দুইবার কোনো দল সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে। নির্বাচন কমিশনে ৪১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবশ্যই ইসিতে দল হিসেবে নিবন্ধন নিতে হয়। এজন্য প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন।
