বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ আত্মসাতের চেষ্টা করে শত কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ হাজার বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে নেওয়া শত কোটি টাকা ঝুঁকিতে ফেলে দেয় ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড। এর মধ্যে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নূপুরকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। নূপুর ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরও অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।

গতকাল রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড ঢাকা স্টক  এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত ব্রোকারেজ হাউস। এখানে বিনিয়োগ করা ১৮ কোটি টাকা শহিদুল্লাহ-নূপুর দম্পতি অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেন। আরও ৩০ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে নিজেদের কাছে রাখেন। পরে গ্রাহকদের অভিযোগে আত্মগোপনে থাকা এ দম্পতিকে সোমবার নোয়াখালীর মাইজদী থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা মোট পাঁচটি মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাতেন বলেন, এ ব্রোকার হাউসে প্রায় ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারী শেয়ার কেনাবেচা করতেন। গ্রেফতাররা তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অগোচরে ১৮ কোটি টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেন। বিনিয়োগকারীরা যখন দেখলেন তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে কোনো মেসেজ যাচ্ছে না, তখন তারা অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। পরে ২২ জুন গিয়ে দেখেন অফিস তালা দেওয়া। ব্রোকার হাউসটি বন্ধ করে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে শহিদুল্লাহ-নূপুর দম্পতি পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। বিও অ্যাকাউন্টধারীদের সেখানে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। তারা ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এ ছাড়া ৪৪-৪৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা লভ্যাংশ দেওয়ার শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এসব টাকাও আত্মসাতের জন্য তারা আত্মগোপন করেন। তিনি বলেন, আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করব। তারপর সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ঢাকা, স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে জানাব যে কী কী এলিমেন্টস এখানে আছে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। শহিদুল্লাহ ও নূপুর লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সীমান্ত দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ব্রোকার হাউসটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, পরিচালক তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নূপুর ও ভাই ওয়াহিদুজ্জামান।

সর্বশেষ খবর