বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

এমপি নয় ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেফতার পাপুল

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

এমপি নয় ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেফতার পাপুল

এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েত সরকার বাংলাদেশের এমপি হিসেবে গ্রেফতার করেনি, করেছে ব্যবসায়ী হিসেবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গতকাল সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তিনি কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে যাননি। তিনি ওখানে ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ওখানে তিনি কোম্পানির সিইও ও এমডি। তিনি বোধহয় ওখানকার লোকার রেসিডেন্ট। সে হিসেবে ওখানে গিয়েছেন। বাংলাদেশের এমপি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, করেছে ব্যবসায়ী হিসেবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, পাপুলকে গ্রেফতারে এক মাস পার হলেও এখনো কুয়েত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। আমরা শোনার পরপরই আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, আপনি এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য নিয়ে আসেন। সরকারের ভার্সনটা নিয়ে আসেন। কী কারণে তাকে গ্রেফতার করেছে। তারা কোনো চার্জও করেনি। সে সরকার আমাদের কিছু জানায়নি। না জানানোর ফলে আমরা ঢাকায় কুয়েতি অ্যাম্বাসাডরকে অ্যাপ্রোচ করলাম যে, আপনি তথ্যগুলো দেন। আজকে সপ্তাহখানেক হয়ে গেল তিনিও কোনো তথ্য নিয়ে আসেননি। কুয়েত সরকারের কাছ থেকে তথ্য না আসার জন্য করোনাভাইরাসের ফলে লকডাউনকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ওখানে লকডাউন এবং অফিস-আদালত মোটামুটি বন্ধ। অফিসে লোক পাওয়া যায় না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের মদদদাতা হিসেবে ব্যবসায়ী থেকে কূটনীতিক বনে যাওয়া রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, আগে অভিযোগগুলো দেখা যাক, অভিযোগগুলো দেখলে পরে কিছুটা যদি বোঝা যায়, কিছুটা সত্যতা আছে, তাহলে নিশ্চয়ই তদন্ত হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কালামের মেয়াদ চলতি মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসেই তিনি চলে আসবেন। আমরা নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন, তাও নির্ধারণ করেছি। যে কোনো দিন তিনি যাবেন।

সর্বশেষ খবর