নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন হয়েছে। আর স্ত্রী ও সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করেছেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকাস্থ শাহ আলমের ভাড়া দেওয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ (১৫) ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া হারেস মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় হারেস (৫৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২) আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া সপরিবারে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের টিনেরঘরে ভাড়া থাকতেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে সোহাগ স্থানীয় গার্মেন্টে চাকরি করতেন। মেয়ে বীথি আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়া ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। এ সময় মাকে বাঁচাতে যায় সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তাদের চিৎকারে মেয়ে বীথি ঘুম ভেঙে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোহাগের লাশ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।