বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাতিজাকে হত্যার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

তিন বছরের শিশু মেহরাবকে জবাই করে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন রাজ নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পশ্চিম ঝর্ণাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাজু শিশু মেহরাবের চাচা ছিলেন। ডবলমুরিং থানার ওসি (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু মেহরাবকে জবাই করেন চাচা রাজু। এরপর পালিয়ে যান তিনি। খুনের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম ঝর্ণাপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে রাজু নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, একটি ছোরা এবং ৮৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত জসিম উদ্দিন রাজু একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে। রাজু ২০১৪ সালে পুলিশ সদস্য নায়েক ফরিদ উদ্দিনকে হত্যা করেন। ১৮ সালে হাজীপাড়ায় খোরশেদকে হত্যা করেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার নিজের ভাতিজা মেহরাবকে জবাই করেন। পাবনায় গ্রেফতারের পর বন্দুকযুদ্ধে যুবকের মৃত্যু: পাবনার সদর উপজেলার শিবরামপুর স্লুইচ গেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তানজিল নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত তানজিল পাবনা শহরের রামচন্দপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবু শেখের ছেলে। পুলিশের দাবি, সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। তার বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। তবে পরিবার ও স্বজনরা দাবি করেছেন, তানজিল সন্ত্রাসী নয়। তার বিরুদ্ধে কোনো অস্ত্র বা হত্যা মামলাও নেই। বিশেষ একটি মহলের ইন্ধনে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে তানজিলের স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী সদর উপজেলার শিবরামপুর স্লুইচ গেট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা  চালানোর জন্য অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে তানজিলের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকা  বলে দাবি করছে নিহত তানজিলের চাচাতো ভাই ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী ওরফে ভিপি মাসুদ। তিনি বলেন, তানজীলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো চাঞ্চল্যকর আলোচিত মামলা ছিল না। তার বিরুদ্ধে কোনো হত্যা বা অস্ত্র মামলাও নেই। মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে আমি দেখা করার জন্য গিয়েছিলাম। তবে আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। ভোরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর