করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন মৃধা (৭৬)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী, চার পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী, সহযোদ্ধা ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি চরমাধবদিয়ায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। লোকমান হোসেন মৃধা গত ২৩ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে করোনা রিপোর্টে পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। লোকমান হোসেন মৃধার মৃত্যুতে ফরিদপুর শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লোকমান হোসেন মৃধার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ফরিদপুর-২ আসনের এমপি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ফরিদপুর কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ওয়াহিদ মিলটন।