শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

চলে গেলেন সাহারা খাতুন আজ দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলে গেলেন সাহারা খাতুন আজ দাফন

চলে গেলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবীণ এই রাজনীতিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাহারা খাতুনের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। গত ২ জুন তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছু দিন তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬ জুলাই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নেওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ওইদিনই তাকে ভর্তি করা হয়। গতকাল মধ্যরাতে তার মরদেহ বহনকারী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছায়। দলের পক্ষ থেকে সাহারা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। পরে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আজ বেলা ১১টায় বনানী মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে। দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কান্ডারির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা শোক প্রকাশ করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনের এই এমপির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, সংসদ সদস্যরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন : ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ তিনি ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। শিক্ষাজীবনে তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে নাম লেখান। আইন পেশায় আসার পর সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা গঠিত হলে তাতে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন এবং সারা ঢাকা শহরের মহিলাদের আইভি রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত করতে শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় নেতা মরহুম তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা গঠন করে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই মিছিল-মিটিং সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করেছেন। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের দিনও তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে তখনকার ছাত্রলীগ নেত্রীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি প্রথমে নগর আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে মহিলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদিকা এবং একই সঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-আইন সম্পাদিকা, পরে তিনি আইন সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। পরবর্তী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবেই ছিলেন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, আইয়ুব-ইয়াহিয়াবিরোধী আন্দোলন, দেশ স্বাধীনের আন্দোলন, ’৭৫-র পর অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন করেছেন রাজপথে। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে হরতাল, সভা-সমাবেশ করতে গিয়ে একাধিকবার গ্রেফতার এবং নির্যাতিত হয়েছেন। আইন পেশায় নিয়োজিত থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের বহু সংখ্যক নেতা-কর্মীর মামলা বিনা পয়সায় লড়েছেন। তৃণমূল থেকে লড়াই করে রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা চিরকুমারী সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এর আগে ফখরুদ্দীন, মইন উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার করা হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার সঙ্গে আবারও গ্রেফতার হন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তিনি ছিলেন কল্যাণমূলক রাজনীতির অগ্রদূত ও ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনার খুব প্রিয়।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮-এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠনের সময় ডাক পড়ে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের। তিনি শপথ গ্রহণ করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১২ সালে মন্ত্রণালয়ের রদবদল ঘটলে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক শোকবার্তায় বলেন, সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে দলের পরীক্ষিত একজন নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অসাধারণ অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সাহারা খাতুন তার সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শক্তিশালী করতে এবং দেশের গণতন্ত্র উন্নয়নে কাজ করেন। তার (সাহারা) মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন নিবেদিত রাজনীতিবিদকে হারাল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারাল। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।

আরও শোক জানিয়েছেন যারা : সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে এ আলম চৌধুরী লিটন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ। পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ শোক জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম প্রমুখ।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন তালুকদার, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির ব্যারিস্টার আরশ আলী, ডা. শাহাদাৎ হোসেন, নুরুর রহমান সেলিম, অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, মহিলা লীগ সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

 

সর্বশেষ খবর