করোনা পরিস্থিতি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-
বিডব্লিউসিসিআইর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমাদ এমপি। তার মতে, এখন সময় নতুন উদ্যোক্তাদের। কারণ, করোনাভাইরাসে মানুষের জীবনযাপনের ধারা পাল্টে গেছে। নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে, যা পুরনো উদ্যোক্তারা পূরণ করতে পারবেন না। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন দেশের নারী উদ্যোক্তাদের অন্যতম সংগঠন বিডব্লিউসিসিআইর সভাপতি সেলিমা আহমাদ এমপি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বে বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এটা শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই নয়, এই পরিবর্তন এসেছে সব স্তরে। এটা মেনে নিয়েই আগামী দিনের কর্ম-পরিকল্পনা নিতে হবে নতুন উদ্যোক্তাদের। তাদের জন্য করোনা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন নতুন উদ্যোক্তাদের সচেতনতার সঙ্গে সেই দ্বারে প্রবেশ করে নিজেদের সাফল্যের ফসল ঘরে তুলতে হবে। নিটল-নিলয় গ্রুপের এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এখন অনলাইনে নতুন নতুন ব্যবসার সুযোগ আছে। মানুষ এটা খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। তাই নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজশর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য নতুন উদ্যোক্তা সেল গঠন করা দরকার। আসলে নতুনদের কেউ স্বচ্ছ গাইড লাইন দেয় না। ব্যবসা করার প্রশিক্ষণ ও মূলধন দেয় না। বড়জোর কিছু প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ঋণ দেয়। ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে আসলে ভালো কোনো ব্যবসা হয় না। ব্যবসা-বাণিজ্যে নোবেল খ্যাত অসলো বিজনেস ফর পিস পুরস্কার পাওয়া সেলিমা আহমাদ বলেন, সরকারের উচিত টার্গেট নির্ধারণ করে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া। এক্ষেত্রে সারা দেশে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের মতো বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প নিতে পারে সরকার। সারা দেশে এখন অসংখ্য মানুষ নতুন উদ্যোক্তা হতে চান তাদের সীমিত সামর্থ্য ব্যবহার করে। তাদের এই উদ্যম কাজে লাগাতে হবে। বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশে যত নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবেন, তত বেশি বিনিয়োগ হবে, তেমনি বাড়বে কর্মসংস্থান। একজন নতুন উদ্যোক্তার উদ্ভাবনী, উদ্যোগ ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরিতে অবদান রাখতে পারে।