কুমিল্লা নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনসহ তার ভাইদের হামলায় ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। নিহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী রেখা বেগম মামলাটি দায়ের করেন। এতে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া তার ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, গুলজার হোসেন, গুলজার হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম আলিফ ও নাজমুল ইসলাম তানভীরের নামে মামলা করা হয়। মামলার বাকি দুই আসামি পাশের তুলাতলী গ্রামের ইউনুসের ছেলে কাউছার আাহমেদ ও চাঙ্গিনী গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে জোবায়ের হোসেন। আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে চাঙ্গিনী গ্রামে গতকাল ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের লাশ দাফন করা হয়। মামলার বাদী রেখা বেগম বলেন, ‘মামলার ১০ আসামি সবার ফাঁসি চাই। তারা নির্মমভাবে কুপিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। এর বিচার চাই।’ মামলার এক নম্বর সাক্ষী নিহতের ভাই আলাল বলেন, ‘কাউন্সিলর চাঁদাবাজ। চাঁদা না দিলে কাউন্সিলর হামলা ও মামলার হুমকি দেয়। তার বাহিনীর ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলতে পারে না। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়।’ সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ১০ জনের নামে মামলা করেছেন নিহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী রেখা বেগম। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্সিলর আলমগীরসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, নগরীর চাঙ্গিনী এলাকায় জমি ও রাজনৈতিক বিরোধে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর কয়েক শ লোকের সামনে মসজিদ থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন।