প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। যুদ্ধ, ঝড়, ভূমিকম্প হোক- নির্বাচন করতে হবে। এটি সংবিধানের বিষয়। সংবিধান পরিপন্থী কিছু করা যাবে না। তাই নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো সম্ভাবনা বা সুযোগ নেই। উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। যদি কেউ অংশ না নেয় তবে তা নির্বাচন কমিশনের দায় নয়। যে সব ভোট কেন্দ্র বন্যার পানিতে কবলিত সেসব কেন্দ্রে ভোট বিকল্প কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিকল্প কেন্দ্রগুলো পরিচিত করতে ভোটারদের মাঝে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা গতকাল বিকাল ৪টায় বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। মতবিনিময়ের আগে তিনি জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বৃষ্টিবাদল করোনাভাইরাস মাথায় নিয়েই ভোট করতে হচ্ছে। বগুড়া-১ আসনে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মাঠ পর্যায়ে ভোটগ্রহণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোনো কিছু হোক না কেন সংবিধানের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী ভোট গ্রহণ করবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন সিইসি। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী,   নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক এ কে এম হাফিজ আক্তার, জিএফআইর জেনারেল স্টাফ কর্নেল নাজিম উদ্দিন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ উদ্দিন, বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।