রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সমালোচনার বাক্সবাহী বিএনপি জনগণের পাশে নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

সমালোচনার বাক্সবাহী বিএনপি জনগণের পাশে নেই

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা মহামারীর এই সময় সমালোচনার বাক্স নিয়ে বসে থাকা বিএনপি এবং এমন অনেকেই জনগণের পাশে নেই। বিবেকহীন অন্ধ সমালোচনা পরিহার করে তাদের সরকারের সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মধ্যে সহায়তা চেক বিতরণের চলমান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্বের শীর্ষ পত্রপত্রিকা যেখানে করোনা মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে, সেখানে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা প্রতিদিন যে ভাষায় শুধু সমালোচনাই করে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সমালোচনা থাকবে, সরকারকে সবাই পরামর্শ দিতে পারে, সেই গণতান্ত্রিক রীতি আমরা সমাদৃত করি। কিন্তু অন্ধ ও বিবেকহীন সমালোচনা এবং কোনো কাজে ভালো দেখতে না পারা চোখ থাকতে অন্ধের মতো আচরণ।’ তিনি বলেন, জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে প্রতিদিন গণমাধ্যমে উঁকি দিয়ে সমালোচনা করে বিএনপি নিজেদের জনগণের কাছে হাস্যকর করে তুলছে।

এনজিওদের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বহু এনজিও আছে যারা বিদেশি অর্থ পায়, এখন তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। কয়টি এনজিও মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা দুর্যোগে জনগণকে সহায়তায় সরকার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। লাখ লাখ মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে সহায়তার টাকা পেয়ে যাচ্ছে, যা কেউ আশা করেনি, আগে কখনো ঘটেনি। এ সময় জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাশের দেশ ভারতে বিরোধীদলীয় জোটপ্রধান সোনিয়া গান্ধী সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো এ কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সাংবাদিকরা করোনাকালে কাজ করছেন, অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছেন। সাংবাদিকরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে মালিকরা চাইলেও গণমাধ্যম চালু থাকত না। মানবিক বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের সহায়তা করছে। এ সময় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের অনেকের সাময়িক কষ্ট হলেও গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ ও চাকরিচ্যুত না করার জন্য তিনি সবার প্রতি পুনরায় অনুরোধ জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ইতিমধ্যে তিন লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সেই পরিবারগুলো আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল। সহায়তাপ্রাপ্ত সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা করেন আতাউর রহমান জুয়েল ও মোহাম্মদ তারিক আল বান্না। অনুষ্ঠানে ২০০ সাংবাদিককে চেক প্রদান করা হয়। চলমান সহায়তার প্রথম পর্বে এ পর্যন্ত ৪৮টি জেলায় সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে এ সহায়তা পৌঁছেছে বলে জানান ডিইউজে সভাপতি।

সর্বশেষ খবর