শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ধরা পড়লেই বলে হাওয়া ভবনের লোক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধরা পড়লেই বলে হাওয়া ভবনের লোক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, হাসপাতালে ভুয়া টেস্ট ও জালিয়াতিতে ধরা পড়ার পর আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে হাওয়া ভবনের লোক বানালেন। যখন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দুর্নীতি বা লুটপাটের কথা ফাঁস হয়ে যায়, যখন তাদের মুখ দেখানোর আর কিছুই থাকে না, তখন বিএনপি অথবা হাওয়া ভবনের লোক বলে চালিয়ে দেন তারা। অথচ দুর্নীতি-লুটপাট সবই করছেন তারা। ধরা পড়লেই হাওয়া ভবনের লোক। গতকাল দুপুরে করোনা প্রতিরোধে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দুর্নীতি ও লুটপাট করে ধরা পড়ে যান, তখন বলা হয় হাওয়া ভবনের লোক। অথচ করোনা টেস্টে পজিটিভ রোগীদের তারা নেগেটিভ সনদ দিয়েছেন। আর যাদের নেগেটিভ এসেছে, তাদের পজিটিভ সনদ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধারদের নেপথ্য গডফাদার কারা, তা জানতে চাই। এ দুই প্রতিষ্ঠানের করোনা টেস্ট জালিয়াতির নেপথ্য গডফাদাররা এখনো কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন। তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদ, জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী- এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আজ যখন চারদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে, তখন রুই-কাতলা তো ধরা পড়ছে না। গত রবিবার নামমাত্র একজন (ডা. সাবরিনা) ধরা পড়লেন। আমরা জানতে চাই, এর পেছনে গডফাদার কারা? এর নেপথ্য সেই ক্ষমতাশালী লোক তারা কারা? কই, তারা তো ধরা পড়ে না। এই রুই-কাতলাদের আপনারা ধরতে পারবেন না। কারণ তারা ক্ষমতাবান লোক। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিতে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মাস্কের দুর্নীতি কে করেছে? মন্ত্রীর ছেলে। করোনার জন্য জীবন বাঁচানোর মেশিন ভেন্টিলেটর। সে ভেন্টিলেটর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কে? ক্ষমতাসীন দলের লোক অথবা মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন।

পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম চারদিকে ছি ছি পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নেই, যার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সম্পর্ক নেই। নেতারা তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন, সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু সরকারের পক্ষে কী করে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের করোনা টেস্টে অনুমোদন দিল? স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি (মহাপরিচালক) যখন অনুমোদন দেন, সেটি তো সরকারেরই অনুমোদন। রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদ সরকারের পক্ষে টকশো করেছেন। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য তিনি। অথচ আওয়ামী লীগের কেউ কেউ তাকে হাওয়া ভবনের লোক বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর