শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ৪৮ বিলিয়ন ডলার প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংকটের মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি অর্থবছরের জন্য পণ্য ও সেবা খাত মিলিয়ে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গতকাল জুম অ্যাপের মাধ্যমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২০-২১ অর্থবছরের রপ্তানির এই লক্ষ্য ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় তিনি বলেন, রপ্তানি আয় যেটা নির্ধারণ করেছি, সেটা অর্জন করা সম্ভব। 

গত অর্থবছরে ৫৪ বিলিয়ন ডলারের  রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যার মধ্যে পণ্য খাতে আয় ধরা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এই খাতটিতে। ফলে অর্থবছর শেষে দেখা যায় পণ্য খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। পণ্য রপ্তানিতে এই প্রকৃত আয়ের ওপর এবার ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি অর্থবছরে ৪১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। আর সেবা খাতে ধরা হয়েছে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে কভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে বিগত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে পণ্য খাতের রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছে। তবে জুন মাস থেকে তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, সঠিক নীতি অনুসরণ এবং সময়মতো তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানির গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, এফবিসিসিআইর ভাইস  প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বেসিস সভাপতি আলমাস কবীর, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মো. হাতেম। সালমান এফ রহমান বলেন, অনেকেই ভাবতে পারেন ঘোষিত রপ্তানি টার্গেট চ্যালেঞ্জিং, তবে আমি মনে করি এটি অর্জন সম্ভব, এমনকি এর চেয়ে বেশি রপ্তানি আয়ও অর্জিত হতে পারে। তিনি বলেন, করোনা সংকটে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্যে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেটি যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি তবে রপ্তানি আয় আরও বেশি অর্জন করা সম্ভব।

করোনাকালে পিপিই ও মাস্ক রপ্তানিতে সম্ভাবনা থাকলেও এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেস্টিং সুবিধা বাংলাদেশে নেই বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত টেস্টিং সুবিধা বাংলাদেশে স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ঘোষিত রপ্তানি লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, তবে এজন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে প্রধানমন্ত্রী গোষিত প্রণোদনা ও সরকারের নীতি সহায়তাগুলোর সুবিধা ব্যবসায়ীরা নিতে পারে। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক শ্রমিকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি তুলে ধরে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দাবি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর