রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার মতো অদৃশ্য জীবাণুর সঙ্গে আমরা লড়াই করে পারছি না

মাহমুদ আজহার

করোনার মতো অদৃশ্য জীবাণুর সঙ্গে আমরা লড়াই করে পারছি না

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমরা এমন পাপ করেছি, করোনার মতো একটি অদৃশ্য ছোট জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে পারছি না। এখন পাপের সাজা ভোগ করতেই হবে। কিন্তু দুঃখ লাগে এর জন্য যারা দায়ী নন, সেই গরিব মানুষগুলোই এখন সবচেয়ে বেশি ভুগছে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনে তিনি এসব কথা বলেন। আলাপচারিতায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ জানান, এখন তিনি কোথাও যান না। বাসায় বসে বই পড়েন এবং লেখালেখি করেন। বাজার সদাই হয় সব অনলাইনে। মাঝে-মধ্যে দলের প্রয়োজনে ভার্চুয়ালে কথাবার্তা হয়। তবে করোনাকালীন এই সময়ে নেতা-কর্মী বা কারও সঙ্গেই দেখা-সাক্ষাৎ করেন না। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা কবে নির্মূল হবে তা  কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ। তাদের হাতে নিউক্লিয়ার বোমা আছে। তাদের অর্থবিত্ত, শক্তি সবই আছে। এত কিছু থাকার পরও করোনায় তারা কাবু হয়ে পড়েছে। তারাও একটি ছোট জীবাণু মারতে পারছে না। করোনা এক অদৃশ্য শক্তি, যার বিরুদ্ধে লড়াই করছে পুরো বিশ্ব। কিন্তু ছোট্ট একটি জীবাণু ধ্বংস করতে পারছে না।

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, দেশের মানুষ এখন অসম্ভব দুরবস্থায় আছে। নিম্ন, নিম্নমধ্য ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা এখন খুবই অসহায়। দেশের কোটি কোটি মানুষ এখন বেকার। অতি দরিদ্র শ্রেণির মানুষ তো খুবই বিপদে আছে। যাদের চাকরি নেই, রোজগার নেই তাদের কীভাবে চলবে? বস্তিবাসী খাবারই জোগাড় করতে পারে না, তারা বাসা ভাড়া দেবে কীভাবে? সার্বিকভাবে দেশে এখন চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। 

সাবেক এই উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা চিকিৎসা নিয়ে চরম সমন্বয়হীনতা কাজ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কী আশ্চর্যের ব্যাপার! কার্যত, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। এটা বোঝা গেল করোনা পরিস্থিতিতে। আমাদের কোনো দক্ষতা নেই, অভিজ্ঞতা নেই, পরিপক্বক্তা নেই। কাজে আছে চরম সমন্বয়হীনতা। স্বাস্থ্য খাতে এমন দুর্নীতি ঢুকেছে, যার কারণে চিকিৎসা বলতে এখন কিছু নেই। দুর্নীতি ও অনিয়মে ছেয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর জ্বলন্ত প্রমাণ সাহেদ ও জেকেজি। তিনি বলেন, করোনাকালে সংকটে থাকা গরিব মানুষের ত্রাণেও দুর্নীতি হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি আমার এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্প্রতি ভার্চুয়ালে কথাবার্তা বলেছি। তারা বলছে, গরিবের ত্রাণ হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই পাচ্ছেন, অথবা তাদের লোকজন চুরি করছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষ এই সরকারের ওপর চরম বিক্ষুব্ধ। তারা দল করে না বলে ত্রাণও পাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর