মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সাবরিনার তথ্য চেয়ে চার প্রতিষ্ঠানে দুদকের চিঠি

জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবরিনার তথ্য চেয়ে চার প্রতিষ্ঠানে দুদকের চিঠি

চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চার প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির স্বাক্ষরে চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল কমিশনের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে। এদিকে দুই দফা রিমান্ড শেষে সাবরিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। জানা গেছে, রবিবার এসব চিঠি পাঠানো হয়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন), বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআইএফইউ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১০ এর কর কমিশনার এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহ পরিদফতরের (আরজেএসসি)  নিবন্ধকের কাছে সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন। গত ১২ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে। জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থেকে করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাড়াও সাবরিনার অন্যান্য অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে সেলিনা আখতার মনিকে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক। সাবরিনা গ্রেফতার হওয়ার পর ১৩ জুলাই তার বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। জানা গেছে, করোনার ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ সাবরিনার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহপূর্বক ১৫,৪৬০টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করেছেন তিনি।

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবরিনা : করোনা পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফের দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডা. সাবরিনাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। এ সময় সাবরিনার পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ১৩ জুলাই প্রথম দফায় তিন দিন ও ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় দুই দিন মোট পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন ডাক্তার সাবরিনা। গত ১২ জুলাই দুপুর ১টার দিকে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয় তেজগাঁও পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ খবর