মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম রোধেই হাসপাতালে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম রোধেই হাসপাতালে অভিযান

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চলছে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’-এর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সরকারের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক সাহাবুদ্দিন সাহেব বিএনপির একজন নেতা, তিনি গত নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন। এখানে কে কোন দলের, তা দেখছে না সরকার। প্রতারক সাহেদ আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে না থেকেও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু পার পায়নি। অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত যেই হোক, দলমত নির্বিশেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর মধ্যে যে কোনো বিষয়ে লাইভ সম্প্রচারের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয় না, অন্যান্য ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। আমাদের দেশেও সেটি হওয়া বাঞ্ছনীয়। যে কোনো বিষয় প্রদর্শন বা সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে জনমনে সেটির প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন। শিশু-কিশোরদের মনে নেতিবাচক প্রভাব বা সমাজে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কিছু প্রচার সমীচীন নয়। অভিযানের সময় লাইভ সম্প্রচার অনেক সময় অপরাধীদের পক্ষে সহায়ক হতে পারে, এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবীতেই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর আগের মতো কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে না, গাড়ি-কলকারখানা আগের মতো চলছে না, মানুষের ছোটাছুটি আগের তুলনায় কমেছে। সে কারণেই প্রকৃতি নিজস্বতায় বিকশিত হয়েছে। আমি মনে করি শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ইতিবাচক পরিবর্তন থেকে সমগ্র বিশ্ববাসীর শেখার রয়েছে এবং এটিকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রয়োজন।

পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং পৃথিবীর হাতে গোনা দু-একটি দেশের মধ্যে প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। এই ট্রাস্ট ফান্ড এখনো চলমান এবং এর মাধ্যমে নেওয়া উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমানো, বিশ্বের উষ্ণায়ন হ্রাসে ক্লাইমেট চেঞ্জ সংলাপ-সমঝোতায় বাংলাদেশের অব্যাহত নেতৃত্বের কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৫ সালে পরিবেশ বিষয়ক পৃথিবীর সর্বোচ্চ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর