বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সাহাবুদ্দিন মেডিকেলের এমডিসহ তিনজন রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

চিকিৎসার নামে প্রতারণার মামলায় রাজধানীর গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসনাত ও স্টোরকিপার শাহরিজ কবিরকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। তবে আসামিদের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সরকারের অনুমোদন না থাকার পরও র‌্যাপিড কিট দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা, পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া, সুস্থ রোগীকে ‘করোনাভাইরাস পজিটিভ’ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিকেল সরঞ্জাম রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন র‌্যাবের নায়েব সুবেদার ফজলুল বারী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যানের ছেলে ফয়সালের নির্দেশে চিকিৎসক আবুল হাসনাত অন্যদের সহযোগিতায় এ কাজ করেছেন। এসব অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আসামিরা বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাসপাতালটির তিন তলায় ‘হাইটপ ওয়ান স্টেপ র‌্যাপিড টেস্ট’ লেখাযুক্ত বক্স পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি র‌্যাপিড টেস্ট কিট ছিল। এ ছাড়া চিকিৎসক আবুল হাসনাতের স্বাক্ষরিত অ্যান্টিবডি টেস্টের চারজনের রিপোর্ট মেলে সেখানে। একজন রোগীকে করোনা পজিটিভ দেখিয়ে ভর্তি করার পর তার স্বজনদের সন্দেহ হওয়ায় পরে অন্য আরেকটি হাসপাতালে তারা পরীক্ষা করান। সেখানে ওই রোগীর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। এ ছাড়া সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার তলার অস্ত্রোপচার কক্ষে মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিকেল সামগ্রী মেলে, যেগুলোর মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হয়ে গেছে। এগুলো মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।

সর্বশেষ খবর