বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
ভক্তদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

লায়লাকে নিয়ে আর আসবেন না ফাহিম

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

‘প্রায় দিনই সকালে লায়লাকে সঙ্গে নিয়ে আসতেন। অর্ডারের মধ্যে থাকত ‘ব্যাগেল টোস্ট উইথ লিটল বাটার অ্যান্ড এ রেগুলার কফি’। কাউন্টার থেকে খাবারের প্যাকেট না নেওয়া পর্যন্ত লায়লা দরজার সামনে অপেক্ষা করত। এমন দৃশ্য এখন হৃদয় পটেই শুধু ভাসছে। লায়লাকে সঙ্গে নিয়ে আর আসবেন না ফাহিম’-অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে এমন স্মৃতিচারণ করলেন তরুণ টেক-উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ প্রসঙ্গে ডাউন টাউন ম্যানহাটানের ইস্ট হিউস্টন স্ট্রিটের কফি শপের কর্মী মারিয়ানা মেহনাজ। হিসপ্যানিক এই নারী ২০ জুলাই দুপুরে ফাহিমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। উল্লেখ্য, ইস্ট হিউস্টন স্ট্রিটের ওপর ২৬৫ নম্বর ভবনের অ্যাপার্টমেন্টে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হন বাংলাদেশি-আমেরিকান ফাহিম সালেহ (৩৩)। ১৪ জুলাই অপরাহ্ণে পুলিশ ফাহিমের খন্ড বিখন্ড লাশ উদ্ধার করে। এর তিন দিন পর ১৭ জুলাই ফাহিমের ঘাতক হিসেবে অভিযুক্ত ২১ বছর বয়েসী টাইরেস হ্যাসপিলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। হ্যাসপিল ছিল ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী। ‘ফাহিম শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যই অহংকারের প্রতীক ছিলেন না, তিনি ছিলেন পিছিয়ে থাকা বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের কান্ডারি, ফাহিমকে হত্যার মধ্য দিয়ে দিপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা একটি অভিযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া হলো’-মন্তব্য মারিয়ানার। এ সময় শ্রদ্ধা জানাতে আসা আরেক বাংলাদেশি দিপালী সরকার বললেন, তথ্য-প্রযুক্তি জগতে ফাহিমের উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা এবং সেই ভাবনার সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কলম্বিয়া, নাইজেরিয়ার যুব সমাজকে কর্মসংস্থানের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছিলেন, তা জেনে সন্তানের বয়েসী ফাহিমের প্রতি মাথানত হয়েছে পরম মমতায়। আশা করছি, ঘাতক এবং এহেন নির্মমতায় মদদদাতা কেউ যদি থাকে, তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। সোমবার দুপুরে সেই ভবনের প্রবেশ পথের উভয়পাশের কাচের দেয়ালে সেঁটে রাখা বিভিন্ন শ্রদ্ধাঞ্জলি মন্তব্য/মতামতের মধ্যে দেখা যায়, ‘উই উইল কন্টিনিউ টু ড্রিম বিগ ফর ইউ’, ‘উই লাভ ইউ ফাহিম’। এ সময় ফাহিমের সাহচর্যে আসা একদল উদ্যমী যুবক বলেছেন, তার মেধা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা- চেতনার কাছাকাছি যারা এসেছে, তারাই তার ভক্ত হয়েছে। ফাহিমের পরামর্শ অনুযায়ী কাজে উজ্জীবিত হয়েছি।

সর্বশেষ খবর