শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বিএসএমএমইউতে নকল এন-৯৫ মাস্ক তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নকল মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল’কে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ বিষয় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কারণ দর্শানোর নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার তার উত্তর দিয়েছেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহান। তারা বিষয়টিকে অনাকাক্সিক্ষত বলে উলেখ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেখানে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বিষয়টি অনাকাক্সিক্ষত। সে জন্য তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।’ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য কারা দায়ী, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, কারণ দর্শানো নোটিসে তারা যা বলছেন তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তারা যাতে এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। করোনা মহামারীতে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের আপস নয়। যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ বিএসএমএমইউতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয় ৪ জুলাই। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেওয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। গত শনিবার তৃতীয় ব্যাচেই বাধে বিপত্তি। তাদের দেওয়া হয় নকল এন-৯৫ মাস্ক। নকল মাস্কগুলোতে লেখা ভুল, লট নম্বর নেই। প্রকৃতপক্ষে আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করেছে কোম্পানি। অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর