বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস আমাদের অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে। তার পরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের কৃষির যে অগ্রগতি, এটা ধরে রাখতে হবে। গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মানুষের আর যাই হোক, খাদ্যের অভাব যেন না হয়, সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমরা যেমন সারের দাম কমিয়েছি, উন্নতমানের বীজ দিচ্ছি এবং অন্যান্য উপকরণ দিচ্ছি। তিনি বলেন, প্রায় দুই কোটির মতো কৃষক কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পায়, কৃষকরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এভাবে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি যেন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। খাবারের ব্যবস্থাটা যদি আমরা ঘরে রাখতে পারি, তাহলে অন্য কোনো দিকে খুব একটা সমস্যা হবে না। আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। করোনা সংকটকালীন যারা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদন, বিশেষ করে ধান কাটার ব্যাপারে আমাদের সংগঠনের প্রতিটি সহযোগী সংগঠন, আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগ প্রতিটি নেতা-কর্মী তারাও কিন্তু মাঠে নেমে গেছে। নিজের হাতে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের অনেকে কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে মৃত্যুবরণও করেছে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজিও আমরা অর্জন করব। বিশেষ করে এসডিজির ১৭টি মূল নির্দেশনা রয়েছে। তার মধ্যে যে কয়টা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য, আমাদের সবগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করার দরকার নেই। ঠিক যে কয়টা আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন সেগুলো আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সংযুক্ত করে নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব। এটা ঠিক করোনাভাইরাস আমাদের অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে।

সাত প্রকল্প অনুমোদন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ব্যয় সংবলিত সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে (জিওবি) ২ হাজার ১৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন (ঋণ) থেকে পাওয়া যাবে ৯৪২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১. রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন প্রকল্প ২. খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প ৩. ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্য পুওরেস্ট (আইএসপিপি) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৪. আমার বাড়ি আমার খামার (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প, ৫. তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প, ৬. মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প ও ৭. শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর