বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংকটের পরও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রেখে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরেও একই ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল। তবে মুদ্রানীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ব্যাংক রেটে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ব্যাংক রেটের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন এই মুদ্রানীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতি ঘোষণার বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো চলমান করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আর্থিক খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করা।’ প্রতিবছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ওয়েবসাইটে নতুন মুদ্রানীতি দেওয়া হয়। নতুন মুদ্রানীতিতে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হলেও বছর শেষে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। ১৭ বছর পর ব্যাংক রেট কমল : গত ১৭ বছর ধরে ব্যাংক রেটের হার ছিল ৫ শতাংশ। করোনা সংকট থেকে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির গতি বাড়াতে সেই হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যেই সুদে পুনঃ অর্থায়ন সুবিধা নিয়ে গ্রাহকদের ঋণ দেয় সেটিকেই ব্যাংক রেট বলে। আর রেপো রেট হলো ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে ঋণ করে তার সুদের হার। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার একটি বড় অংশ ব্যাংকগুলো পুনঃ অর্থায়ন সুবিধার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে। ব্যাংক রেটের হার ও রেপো সুদের হার কমানোর ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে, বাজারে বাড়বে টাকার জোগান, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর