বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা ও বন্যা থেকে মুক্তির প্রার্থনায় ঈদুল আজহা উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা ও বন্যা থেকে মুক্তির প্রার্থনায় ঈদুল আজহা উদযাপিত

সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের জামাত আদায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনা মহামারী ও বন্যাসহ সব ধরনের দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে গত শনিবার দেশব্যাপী পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনা বিস্তার রোধে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের কোনো ঈদগাহে ও খোলা মাঠে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বন্যা উপদ্রুত সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মসজিদে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় মুসল্লিদের খোলা নৌকায় ঈদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

একসঙ্গে বন্যা ও করোনা মহামারী মোকাবিলা করে এবার দেশবাসী উদযাপন করেন মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ঈদ উৎসব। চলমান করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে এবারের ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান ছিল। একদিকে করোনায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষ। করোনায় অনেকে হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জন। অনেকের স্বজন করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে বা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। অন্যদিকে পাঁচ মাস ধরে দেশে এক ধরনের লকডাউন চলমান থাকায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পরাস্ত হয়েছে লাখ লাখ পরিবার। ফলে এবার অনেকেই পশু কোরবানি করতে পারেননি। তারপরও অনেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের উৎসবে শামিল হতে ছুটে গেছেন গ্রামের বাড়ি। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে শামিল হয়েছেন পশু কোরবানিতে। এ ছাড়া দেশের বন্যা উপদ্রুত অনেক জায়গায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত লোকজনের মাঝে ঈদ উপহার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। রাজধানীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এখানে একে একে ঈদের ছয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদে প্রবেশপথে বসানো হয়েছিল জীবাণুনাশক ¯ন্ডেপ্র বুথ। অধিকাংশ মুসল্লি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরলেও মসজিদের উত্তর পাশে ভিড়ের কারণে কিছু মুসল্লিকে স্বাভাবিক নিয়মে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

 ভিড়ের কারণে মসজিদের দক্ষিণ দিকের রাস্তায় দাঁড়িয়েও অনেক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে মোনাজাতে অংশ নিয়ে নিজেদের গুনাহর জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে মুসল্লিরা অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় করোনা মহামারী, বন্যাসহ সব ধরনের বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্যও আল্লাহর দরবারে সাহায্য চাওয়া হয়। একই সঙ্গে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে প্রার্থনা, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

ঈদের নামাজ থেকে ফিরে সামর্থ্যবান মহান রব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করেন।

সর্বশেষ খবর