বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পর্যালোচনার পর

সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার ভ্যাকসিন ছাড়ার পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। বাংলাদেশে কভিড-১৯ হাসপাতালে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এ পরীক্ষা চালাতে আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছে তারা। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের কাছে আইসিডিডিআরবির একটি প্রতিনিধি দল প্রস্তাবটি তুলে দেন। প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান স্বাস্থ্য সচিব।

ব্রিফিংয়ে আবদুল মান্নান বলেন, চীনের বেসরকারি কোম্পানি সিনোভ্যাক এরই মধ্যে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুই দফা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তাদের তৃতীয় পরীক্ষা বাংলাদেশে কভিড-১৯ হাসপাতালে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চালাতে চায়। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কভিড ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর মাঝে এই ট্রায়াল সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছে। আমরা বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। যদি ইতিবাচক কিছু মনে হয় তবে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে আইসিডিডিআরবিকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি চীনের সিনোভ্যাক বায়োটিক ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে দেশটির সরকারের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওই কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন দুইবার চীনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনায় রেখে সবকিছু যদি সন্তোষজনক হয় তবে অনুমোদন দেওয়া হবে।

ভ্যাকসিন আগে পাওয়ার ব্যাপারে সরকার তৎপর বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথেই রয়েছে। কোনো কোনো দেশ তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্যেই আছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ যেন আগে পায় সে ব্যাপারে সরকার তৎপর রয়েছে। গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মিডিয়া ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সেপ্টেম্বরেই বিপুল পরিমাণ টিকা উৎপাদনের ঘোষণা রাশিয়ার : বেশকিছু টিকার প্রোটোটাইপ এবং একটি পরীক্ষিত টিকা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়া। এই টিকা তৈরি করেছে মস্কোর গ্যামালিয়া ইনস্টিটিউট। গবেষকরা বলছেন, করোনায় এই প্রতিষেধক অনেকটাই কার্যকর। পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে গত পরশু বলা হয়েছে, তারা আগামী মাসেই করোনাভাইরাসের টিকা বিপুল আকারে উৎপাদনে যাচ্ছে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অগ্রগতি ভালো : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের বৃহৎ পরিসরে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, তাদের কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ভালো ডেটা আসছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর