শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

২১ ঘণ্টার অভিযান শেষে জানা গেল বস্তুটি বোমা নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে প্রায় ২১ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষ হয়েছে। নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে মোটরসাইকেলের মধ্যে বোমাসদৃশ যে বস্তুকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, অভিযান শেষে জানা গেল সেটি বোমা নয়। ওই বস্তুটি ছিল ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ (টাইলস বা রড কাটার যন্ত্র)। গতকাল সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও ধ্বংসকরণ ইউনিটের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডু তার ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০  নম্বরের মোটরসাইকেলটি চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশবক্সের পাশে রাখেন। তিনি পাশের একটি চশমার দোকান থেকে ফিরে মোটরসাইকেলে লাল রঙের বস্তুটি দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের একটি টিম এসে ওই মোটরসাইকেল ঘিরে ফেলে। কিন্তু সিলেট মহানগর পুলিশে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট না থাকায় খবর পাঠানো হয় ঢাকায়। সেনা সদর দফতর নির্দেশনা পাঠায় সিলেটের ১৭ পদাতিক ডিভিশনকে। এ ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল রাহাত, লে. কর্নেল খালেদ, ক্যাপ্টেন নূর, ক্যাপ্টেন গালিবসহ একটি টিম গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করে। অভিযান শেষে গতকাল সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল রাহাত বলেন, ‘আমরা এখানে এসে আমাদের পদ্ধতি অবলম্বন করেছি, পরিদর্শন করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা একটা গ্রাইন্ডিং মেশিন। গ্রাইন্ডিং মেশিন নিশ্চিত হয়ে আমরা এলাকাটিকে সেইফ (নিরাপদ) ঘোষণা করি।’ সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘কেউ ভুলবশত গ্রাইন্ডিং মেশিনটা এখানে রেখে যেতে পারেন। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি, সরকারি গাড়ি, সেজন্য আতঙ্ক বা জনমনে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টির জন্য হয়তো কেউ রেখে থাকতে পারে।’

সর্বশেষ খবর