রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীর মুক্তির মানববন্ধনে লাঠিচার্জ

বরগুনা প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে ডাকা মানববন্ধনে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ ছাড়াও কারাবন্দী সিফাতের নানা বামনা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইউব আলী হাওলাদারকে গালমন্দ করার পাশাপাশি হুমকিও দিয়েছে পুলিশ। লাঠিচার্জ করে মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল দুপুর ১২টায় সিফাতের নিজ গ্রাম বরগুনার বামনায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করে সিফাতের সহপাঠী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। বামনার কলেজ রোড সড়কে শান্তিপূর্ণভাবে চলা মানববন্ধনে হঠাৎ পুলিশের একটি টিম এসে ব্যানার-ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়। এরপর বামনা থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন এসেই অংশগ্রহণকারীদের গালমন্দ শুরু করে লাঠিচার্জের নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে মানববন্ধন প- হয়ে যায়। লাঠিচার্জ করেন ওসি নিজেও। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া রুবেল বলেন, সিফাত অত্যন্ত ভালো ছেলে। আর যাই হোক- সিফাতের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ কোনোভাবেই মানা যায় না। এ ছাড়াও মিথ্যা মামলায় নির্দোষ সিফাত জেলে থাকায় ওর মুক্তির জন্য আমরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ সময় পুলিশ প্রথমে আমাদের মানববন্ধনের ব্যানার-ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়। এরপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছিলাম। পরে বামনা থানার ওসি এসে আমাদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেন। সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করায় পুলিশ আমাদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ ছাড়াও নাতির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে আসায় সাংবাদিকদের সামনে সিফাতের নানা মো. আইউব আলী হাওলাদারকে গালমন্দ করার পাশাপাশি হুমকি দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদের অনুমতি না নিয়ে একদল দুষ্কৃতকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছে বলে আমি জানতে পেরেছিলাম। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে বলে মানববন্ধন বন্ধ করে দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর