ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন। পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং সোর্স মোতালেব।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাট দিয়ে মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন মো. সোহেল। পথে পুলিশ তাকে থামিয়ে তল্লাশি করে পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। তল্লাশি শেষে পুলিশ টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে চলে যেতে বলে। তখন সোহেল সেই টাকা ফেরত চাইলে তাকে মারধর করে পুলিশ। এ ঘটনা দেখে ঘটনাস্থলে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন এসে জানতে চান, কী হয়েছে? তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, তার পকেটে ইয়াবা পাওয়া  গেছে। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নইলে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় ওসি সোহেলের স্বজনদের টাকার ব্যবস্থা করে আনতে বলেন। জীবন রক্ষায় রাতেই পুলিশকে দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন সকালে আরও এক লাখ টাকা দেয় সোহেলের স্বজনরা। এরপরও মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনে সোহেলকে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত থেকে অর্থদ  দিয়ে পুলিশই তাকে জামিন করিয়ে আনে। এসব বিষয়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন।