মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

দীর্ঘস্থায়ী বন্যার জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘস্থায়ী বন্যার জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি বন্যা হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে জানিয়ে এ ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। গতকাল (সোমবার) যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে। তিনি বলেন, পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের অনুমান বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন প্রস্তুত থাকতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি বন্যা হয় তাহলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে। একটা প্রজেক্ট আছে সেই প্রজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা আছে। একটা হলো, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলেটেশন করবে। আরেকটা হলো, স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে, যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সেই বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলেটেশন প্রোগ্রাম আছে। তিনি বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে, আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য। বিশেষ করে পানি সহিষ্ণু ভ্যারাইটি। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলেও নষ্ট হবে না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, রোপা আমন ঠিকভাবে হলে আমাদের শর্টেজ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। শর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়। গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন। এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে বেশি হবে। গতকালের বৈঠকে রেলপথে ট্রানজিট সুবিধা দিতে নেপালের সঙ্গে থাকা ট্রানজিট চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে নেপালের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট আছে। সেই ট্রানজিট এগ্রিমেন্টের মধ্যে নেপাল একটি রিকোয়েস্ট করেছে, আমাদের রোহানপুর আর ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে যে রেলপথ আছে সেখানে আরেকটি ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার জন্য। তিনি জানান, এই সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথে পণ্য পরিবহন সুবিধা চালু হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর