শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদকে আবারও দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে ভয়াবহ প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের সংশ্লিষ্ট টিম গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সকালে তিনি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বে একটি টিম তাকে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার প্রতারণার অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি, তার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে আসার অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা তাদের বিস্তারিত বলেছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্তে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। ৬ আগস্ট দুদক তাকে তলব করে নোটিস পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তিনি কমিশনে হাজির হলে প্রথম দিনের মতো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিশন। ৬ আগস্ট দুদকের নোটিসে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। সাহেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য গ্রহণ প্রয়োজন। চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ৬ ও ৭ জুলাই অভিযানে ঢাকায় রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে র‌্যাব। এ ঘটনায় করা মামলায় পরে সাহেদকে গ্র্রেফতার করা হয়।  এর আগে করোনা চিকিৎসার দায়িত্ব দিয়ে ২১ মার্চ রাজধানীর মহাখালীতে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের পর এর প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়ে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য ও অভিযোগ বেরিয়ে এসেছে। পরে জানা যায়, করোনা চিকিৎসার মতো স্পর্শকাতর দায়িত্ব দেওয়া হলেও রিজেন্ট হাসপাতালের এ বিষয়ে তেমন সক্ষমতাই ছিল না। হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি বা লাইসেন্স যেমন ছিল না, তেমনি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই সেখানে সনদ দেওয়া হতো। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি আবুল কালাম আজাদ।

সর্বশেষ খবর