শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

দায়রা আদালতে বদলি সাহেদের অস্ত্র মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দায়রা আদালতে বদলি সাহেদের অস্ত্র মামলা

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের অস্ত্র মামলার বিচার শুরুর পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপনের পর তিনি তাতে সই করে মামলাটি বদলির আদেশ দেন। এর আগে, গত  ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডিবির একটি দল এই অভিযোগপত্র জমা দেয়। 

এদিকে, গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামি শাহেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। দুদকের পরিচালক অনুসন্ধান টিমের লিডার শেখ মো. ফানাফিল্যাহ ও সদস্য উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি সাহেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। করোনার সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। ২৯ জুলাই দুদক এ অনুসন্ধান শুরু করে। এ লক্ষ্যে কমিশন তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অস্ত্র মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য প্রমাণ দরকার হয়, আমরা তার সব উপস্থাপন করেছি। সাহেদ যখন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিলেন, তখন তার ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়। আমরা তদন্তে অভিযোগপত্র ও মামলার ডকেটে (মামলার নথিপত্র) সব উপস্থাপন করেছি। এ ধরনের মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য প্রমাণাদি দরকার হয়, আমরা সবকিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবে। গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে আটক করে র‌্যাব। এর আগে, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনার ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সাহেদের প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে র‌্যাব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর