ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য শিগগিরই ভারতীয় ভিসা চালু হবে। খুব ইমারজেন্সি মেডিকেল ভিসা, বিজনেস ভিসা আমরা দিচ্ছি বাই এয়ার। চেষ্টা করছি এটা যত তাড়াতাড়ি নরমাল হয়। এখনো যারা খুব ইমারজেন্সি রোগী তাদের ভিসা দেওয়া হয়।’ গতকাল সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিভা গাঙ্গুলী দাশ এ কথা জানান।
সাধারণ ভিসা কবে নাগাদ চালু হবে- এমন প্রশ্নে রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, ‘সেটা চেষ্টা করছি আমরা। কারণ ফ্লাইটটা ঠিক নরমালি না চললে... আর এখনো তো কভিড উঁচু-নিচু হতে থাকে। বাট উই আর ওয়ার্কিং অন ইট (কিন্তু আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি)।’
তাহলে কি শিগগিরই খুলছে এ রকম বলা যায়? জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘হোপফুলি, হোপফুলি (আশা করা যায়)।’নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, ‘শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে আমরা খুব ক্লোজলি কাজ করি। কভিডের সময় আমরা শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে একটা সেকেন্ড অ্যাডেনডাম পিআইডব্লিউটিটি (প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড) সাইন করেছি। ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অ্যাগ্রিমেন্ট। বুঝতেই পারছেন অনেক পুরনো, সত্তরের দশকের একটা অ্যাগ্রিমেন্টের সেকেন্ড অ্যাডেনডাম। এতে অনেকগুলো পোর্ট অব কল অ্যাড হয়েছে। দুটো নতুন রুট অ্যাড হয়েছে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুস্থ ও সবল আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি রক্তের সম্পর্ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয়রা রক্ত ও আশ্রয় দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে, তা পৃথিবীর আর কোনো দেশের সঙ্গে নেই। তাই এ সম্পর্কটি কখনো দুর্বল হওয়ার নয়। এ সম্পর্কটি নিয়ে নতুন করে কথা বলার কিছু নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের কিছু চুক্তি, প্রকল্প ও কার্যক্রম রয়েছে। দুই দেশের কানেকটিভিটি বাড়াতে নৌপথ অন্যতম একটা মাধ্যম হতে পারে। আমরা আলোচনা করে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’