চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দিনভর কর্মবিরতি শেষে গত রাতে তা স্থগিত করা হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনার পর শোক দিবস ও প্রশাসনের দাবি পূরণের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ৬০ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গতকাল সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এ সময় মেডিকেল এলাকায় মিছিল-মিটিংও করেন তারা। এতে দুর্ভোগের শিকার হন রোগী ও স্বজনরা। সকালে গণমাধ্যমকে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক নিজেরা মারামারি করে ধর্মঘট ডেকেছেন। তাদের বলেছি, আন্দোলনটা যেন নিয়মতান্ত্রিক হয়। রোগীদের যেন কোনো দুর্ভোগ না হয়। উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ জানা যায়, বৃহস্পতিবার চট্টেশ্বরী মোড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির ও শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনার জেরে রাতে গুলজার মোড়ে আরেক দফা মারামারি হয় দুই পক্ষের। এর জের ধরে গতকাল সকাল থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।