আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক পাঁচ খুনির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের পাঠানো প্রশ্নের জবাবে এক ভিডিওবার্তায় গতকাল তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন,                সাংবাদিক ভাইয়েরা জিজ্ঞাসা করেছেন, বঙ্গবন্ধুর যে খুনিদের রায় এখনো কার্যকর করা যায়নি এবং যারা পলাতক আছেন তাদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি। সে ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কানাডায় নূর চৌধুরী পলাতক আছেন। তিনি কানাডীয় সরকারকে বলেছেন, বাংলাদেশে তাকে একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। কানাডীয় সরকারের একটি আইন আছে, যেটা হচ্ছে যে দেশে মৃত্যুদন্ড আছে, সেখানে মৃত্যুদন্ড হতে পারে এ রকম কোনো আসামিকে তারা ফেরত পাঠায় না। সেই আবেদনের কারণে তিনি সেখানে বসবাসরত আছেন। মন্ত্রী বলেন, নূর চৌধুরী কানাডীয় সরকারের কাছে কী লিখেছেন এবং কী কারণে তাকে সেখানে থাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো জানার জন্য আমরা সেই কাগজপত্রগুলো চেয়েছিলাম।

কানাডীয় সরকার জবাব দিয়েছে যে, তাদের প্রাইভেসি অ্যাক্টে এ কাগজগুলো দেওয়া যায় না। তখন আমরা সেখানে আইনজীবী নিয়োগ করে আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত বলেছে, এই কাগজগুলো দেওয়া যাবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখন অগ্রসর হচ্ছি।

তিনি বলেন, এখানে আমি একটা কথা বলে রাখতে চাই, সেটা হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা এই পাঁচজন পলাতক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই রায় সম্পূর্ণভাবে কার্যকর না করতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের খুঁজে বের করা ও ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলবে। যখন তাদের আনা হবে তখনই এই প্রচেষ্টার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে খুন হন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ ফাঁসির দ-প্রাপ্ত খুনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র ও নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থায় করছেন। এ ছাড়া শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ, মুসলেহউদ্দীন রিসালদার বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন। গত ৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে। তিনি এতদিন ভারতে পালিয়ে ছিলেন। পরে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।