বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ইসির ভাবনায় ছয় নির্বাচন

চট্টগ্রাম সিটি জানুয়ারিতে, ঢাকা-১৮ পাবনা-৪ আসনে সেপ্টেম্বরে, ঢাকা-৫ সিরাজগঞ্জ-১ নওগাঁ-৬ নভেম্বরে

গোলাম রাব্বানী

ইসির ভাবনায় ছয় নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনের ভাবনায় রয়েছে এখন ছয় নির্বাচন। এর মধ্যে ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ জন্য আগামী সপ্তাহের ২৩/২৪ আগস্ট এই দুই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এর পরে নভেম্বর মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হবে ঢাকা-৫, সিরাজগঞ্জ-১ ও নওগাঁ-৬ আসনে। এ ছাড়া আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্থগিত ভোটগ্রহণ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২৩/২৪ আগস্ট কমিশনের বৈঠক রয়েছে। এই দুই দিনের যে কোনো দিন ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। বাকি তিনটি আসনের ভোটও সময় মতো হবে। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ১৮০ দিন তথা ছয় মাসের মধ্যে করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হবে। যেহেতু এ সিটির ভোট স্থগিত হয়েছিল তাই নতুন নির্বাচনের জন্য বেশি সময় লাগবে না। গত ৬ আগস্ট প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন ফেব্রুয়ারির শুরুতে তার মেয়াদ শেষ হবে। তার আগেই ভোটগ্রহণ করতে হবে ইসিকে।

আগামী সপ্তাহে তফসিল ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনের : ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ মাসের ২৩ বা ২৪ তারিখে ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। ২ এপ্রিল এমপি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন এবং সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে  নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যে পাবনা-৪, ঢাকা-৫, সিরাজগঞ্জ-১ উপনির্বাচন ‘পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে’ করার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে করতে চায় ইসি।  সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাবনা-৪ ও ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করা হচ্ছে। নওগাঁ-৬ শূন্য আসনসহ অন্য তিনটি উপনির্বাচন নভেম্বরের মধ্যে করা হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয়েছে গত ৬ মে। প্রথম ৯০ দিন শেষ হয় ৩ আগস্ট। পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে ১ নভেম্বর। পাবনা-৪ আসন শূন্য হয়েছে গত ২ এপ্রিল। প্রথম ৯০ দিন শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। গত ১৩ জুন সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয়। শূন্য হওয়ার পরে ৯০ দিন পূর্ণ হবে ১০ সেপ্টেম্বর। আর পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। ঢাকা-১৮ আসনটি শূন্য হয় গত ৯ জুলাই। শূন্য হওয়ার পরে ৯০ দিন পূর্ণ হবে ৬ অক্টোবর। আর পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি। এ ছাড়া নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম ২৮ জুলাই মারা গেছেন। এ আসনটিও এখন শূন্য। অক্টোবরে এ আসনের উপনির্বাচন করার প্রথম ৯০ দিন শেষ হবে।  

চাঁদপুর পৌরসভা ও চট্টগ্রাম সিটি : আটকে থাকা চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিলও ২৩/২৪ আগস্ট ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর। গেল ২৯ মার্চ এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। একইভাবে গেল ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে কমিশন। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও ছয় মাসের মধ্যে (আগামী বছরের জানুয়ারি) করার আশ্বাস দিয়ে সচিব বলেন, সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মেয়াদ থাকবে ১৮০ দিন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৩০/৪০ দিন হাতে রেখে নির্বাচন করা হবে। তিনি বলেন, এ সিটির স্থগিত নির্বাচন করতে মূলত ১০ দিন সময় হলেই চলবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর