বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

রুশ ভ্যাকসিনের চাহিদা বাড়ছে হু হু করে

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে রুশ করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-ভি’ এর চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। শুরুতেই ২০টি দেশ এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তির আবেদন করলেও পরে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।

রাশিয়া জানিয়েছে, সম্ভাব্য প্রতিষেধকের তালিকায় রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ভি’ কে রাখেনি, কিংবা ট্রাম্প পরিচালিত মার্কিন প্রশাসন এই ভ্যাকসিন ‘ছুঁইয়েও দেখতে চায় না’ বলে জানিয়ে থাকলেও, এখন সেসব পক্ষ থেকেও রুশ ভ্যাকসিনের প্রতি আগ্রহ দেখানো হচ্ছে। ফলে এখন এর চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। রুশ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘স্পুটনিক ভি’ হাতে পেতে সবচেয়ে তৎপর বিশ্বের কমপক্ষে ২০টি দেশ। সেই তালিকায় রয়েছে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বিভিন্ন দেশ।’ এতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে টিকা তৈরি ও প্রচারের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের দায়িত্ব সামলাচ্ছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই দেশগুলোর কথা মাথায় রাখা হবে। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো জানান, ‘প্রথমেই রাশিয়ার দুটি জায়গায় ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হবে।’

সস্তায় বিক্রি হবে চীনা ভ্যাকসিন : চীনের ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ সিনোফার্মের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি উচ্চমূল্যে বিক্রি হবে না। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান লিউ জিংজেনকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটির দুই ডোজের দাম এক হাজার ইয়েনের বেশি হবে না। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ হাজার টাকার কিছু বেশি। সিনোফার্ম বলছে, তাদের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটি এই বছরের শেষ নাগাদ জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যাবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষায় সফলতা পেলেই নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পাবে ভ্যাকসিনটি।

সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন গত মঙ্গলবার  দৈনিক পত্রিকা গুয়াংমিংকে বলেন, ‘এর দাম খুব বেশি হবে না। একটি ডোজের দাম হবে মাত্র কয়েকশ ইয়েন, আর দুই ডোজের দাম হবে এক হাজার ইয়েনেরও কম।’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কার্যকর ও নিরাপদ ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতায় রয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা। দুইশরও বেশি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে অন্তত ২০টি রয়েছে মানুষের ওপর পরীক্ষার পর্যায়ে।

অস্ট্রেলিয়া বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে : অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পেলে তা নিজ দেশের জনগণের জন্য সহজলভ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। জনগণকে ভ্যাকসিনটি বিনামূল্যে প্রদানের পরিকল্পনা করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘোষণা দেন। মরিসন বলেন, ‘যদি এই ভ্যাকসিন সাফল্য পায়, তাহলে আমরা নিজেরাই তা উৎপাদন ও বিতরণ করব। আড়াই কোটি অস্ট্রেলীয়বাসীর জন্য তা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরুর দিকে ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তা উৎপাদন করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। অস্ট্রেলিয়া সরকার ধারণা করছে, জনসংখ্যার অন্তত ৯৫ শতাংশকে তারা ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে।

সর্বশেষ খবর